চুল পড়া একটি সমস্যা যা ধীরে ধীরে একটি মানসিক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। খারাপ ডায়েট থেকে স্ট্রেস, চুল পড়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে।
স্কাল্পে যখন পুষ্টি ও স্টিমুলেশনের অভাব হয় তখনই চুল পড়তে শুরু করে। স্কাল্পে সঠিক তেলের মাসাজ আবার নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে। কারণ এই তেলগুলি স্কাল্প ও চুলের ফলিকলকে স্টিমুলেট করে চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই তেলগুলো যেহেতু সুগন্ধযুক্ত হয় সেহেতু ম্যাসাজ করার পর প্রশান্ত লাগে এবং মানসিক চাপও কম হয়। এবার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক যে এই চারটি এসেনশিয়াল অয়েল কোনগুলো।
রোজমেরি অয়েলরোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল রক্তনালী প্রসারিত করে এবং কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি স্কাল্পে অক্সিজেন সরবরাহ করে পুষ্টি যোগায়। এটি চুল ঘন করে। নারকেল তেলের সঙ্গে ৫-৬ ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্কাল্পে লাগাতে হবে। এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।লেমনগ্রাস অয়েললেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল খুশকি কম করতে সাহায্য করে। চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল খুশকি। লেমনগ্রাসের সুগন্ধ অত্যন্ত প্রশান্তিদায়ক এবং এটি ড্রাই স্কাল্পের সমস্যা দূর করে। নিয়মিত যে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার (প্রাকৃতিক বা জৈব হলে ভালো) ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে ৩-৪ ফোঁটা লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।বার্গামট অয়েলবার্গামট এসেনশিয়াল অয়েল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান সম্পন্ন এবং একটি স্বাস্থ্যকর স্কাল্পের জন্য উপযোগী তেল। এটির প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য স্কাল্প ঠাণ্ডা রাখে, ফোঁড়া বা অতিরিক্ত ঘামের মতো সমস্যা কম করে। প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশনও চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে। নারকেল তেলের সঙ্গে ৩-৪ ফোঁটা বার্গামট মিশিয়ে স্কাল্পে লাগাতে হবে। তার পরে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।সাইডার উড অয়েলভবিষ্যতে চুল পড়া রোধে সাইডার উড তেল ব্যবহার করা হয়! এই অপরিহার্য তেল স্কাল্পে তেল উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলির ভারসাম্য বজায় রাখে, চুলের জন্য দরকারি ব্যাকটেরিয়াকে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এই তেলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা খুশকি এবং শুষ্ক এবং ফ্ল্যাকি স্কাল্পের সমস্যা দূর করে। এই তেলটি স্কাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নারকেল বা ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ৩ ফোঁটা সাইডারউড এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্কাল্পে লাগাতে হবে।